গোত্র


হিন্দু সংস্কৃতিতে, "গোত্র" (সংস্কৃত: गोत्र) শব্দটি বংশ পরম্পরার সমতুল্য বলে বিবেচিত হয়। এটি মূলত একটি অবিচ্ছিন্ন পিতৃপুরুষীয় রেখা বা পিতৃপরম্পরায় একটি সাধারণ পুরুষ পূর্বপুরুষের বংশধরদের ব্যক্তিদের নির্দেশ করে। সাধারণত, গোত্র একটি বহির্গামী (এক্সোগ্যামাস) একক গঠন করে। একই গোত্রের মধ্যে বিবাহকে অজাচার (ইনসেস্ট) হিসেবে গণ্য করা হয় এবং প্রথাগতভাবে নিষিদ্ধ। গোত্রের নাম কখনও কখনও উপাধি (সারনেম) হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

পাণিনি গোত্রকে সংজ্ঞায়িত করেছেন: 

আপত্যম পৌত্রপ্রভৃতি গোত্রম (IV.1.162)

যার অর্থ—"গোত্র শব্দটি একটি দম্পতির (পুত্র ও ভর্তৃ, অর্থাৎ পুত্রবধূ) বংশধরদের নির্দেশ করে।

বৃহদারণ্যক উপনিষদ (২.২.৪) অনুসারে, 

কাশ্যপ, অত্রি, বসিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, গৌতম মহর্ষি, জামদগ্নি ও ভরদ্বাজ এই সাতজন ঋষিকে সপ্তঋষি বলা হয়। এছাড়াও, জাম্বু মহর্ষি (রেণুকা নামেও পরিচিত) কাশ্যপ গোত্রের আরেকজন ঋষি। এই আট ঋষির বংশধরদেরই গোত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাণিনি এই সাতটি প্রধান ও একটি গৌণ গোত্রের ধারণা সম্পর্কে জানতেন বলে মনে করা হয়।
এই সাত ঋষির বংশধরদের (আপত্য) গোত্র বলা হয়, আর যারা এই সাত ঋষির বংশধর নয় তাদের তাদের গোত্রাবয়ব বলা হয়।

যে ব্যক্তি তিনজন ঋষির বংশ অনুযায়ী গোত্র নির্ধারণ করেন, তাকে "ত্রৈবিষয়" বলা হয়। একইভাবে, পাঁচজন ঋষির বংশ অনুযায়ী "পঞ্চবিষয়", আর সাতজন ঋষির বংশ অনুযায়ী "সপ্তবিষয়" বলা হয়।

গোত্র সম্পর্কে আরেকটি তত্ত্ব বিদ্যমান:

কোনো ঋষির পুত্র ও শিষ্যরা একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হন; ধারণা করা হয়, তাদের চিন্তাধারা ও দার্শনিক মতবাদ একই রকম হয়। একই গোত্রের লোকেরা বিভিন্ন বর্ণ বা জাতিতে পাওয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক গোত্রের মধ্যে প্রবর (বিশেষ ঋষিগণের নামের তালিকা) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

হিন্দু ধর্মগ্রন্থসমূহ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহকে অনুমোদন দিলেও, নিজ গোত্রের বা একই বৈদিক ঋষির বংশধরদের মধ্যে বিবাহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে:

একই গোত্র থেকে বা একই ঋষির বংশধরদের মধ্য থেকে (বধূ) নির্বাচন করা উচিত নয়। (পিতৃপক্ষের ক্ষেত্রে) সাত বা ততোধিক প্রজন্ম এবং (মাতৃপক্ষের ক্ষেত্রে) পাঁচ বা ততোধিক প্রজন্ম পার হয়ে গেলে নির্বাচন করা যেতে পারে। 

— অগ্নি পুরাণ, অধ্যায় ১৫৪

উৎপত্তি

ঋগ্বেদীয় পরিভাষায়, গোত্র শব্দটির অর্থ হলোঃ "সামনে এগিয়ে চলা বংশধর"। (गौः) গমন মানে সামনে এগিয়ে চলা এবং (त्र:) সন্তান-সন্ততি নির্দেশ করে।

পরবর্তীকালে এর নির্দিষ্ট অর্থ দাঁড়ায় "পরিবার, বংশ, বা আত্মীয়গোষ্ঠী" (যেমন, ছান্দোগ্য উপনিষদ-এ)।

এই "বংশধারা" ব্রাহ্মণদের মধ্যে গঠিত হওয়ার পর তা পিতৃপুরুষীয় উত্তরাধিকারের রূপ নেয়। পরবর্তীতে এই ব্রাহ্মণ্য ব্যবস্থা অন্যান্য সম্প্রদায় যেমন ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের মধ্যেও গৃহীত হয়।

বৈদিক তত্ত্ব অনুসারে, ব্রাহ্মণরা মূলত সাতজন ঋষির প্রত্যক্ষ বংশধর, যারা ব্রহ্মার মানসপুত্র এবং তার যোগিক শক্তি থেকে উদ্ভূত বলে বিশ্বাস করা হয়।

এই সাত ঋষি হলেন—

  1. অত্রি
  2. ভরদ্বাজ
  3. গৌতম মহর্ষি
  4. জামদগ্নি
  5. কাশ্যপ
  6. বসিষ্ঠ
  7. বিশ্বামিত্র

কখনও কখনও অগস্ত্যকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই আটজন ঋষি-কে গোত্রকারিণী বলা হয়। এদের বংশ থেকেই হিন্দুদের ১০৮টি গোত্রের (বিশেষত ব্রাহ্মণদের) উৎপত্তি হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ—

  • অত্রি ঋষির বংশ থেকে "অত্রেয়" ও "গাভিষ্ঠির" গোত্রের উদ্ভব হয়েছে।

টোটেম-ভিত্তিক গোত্রতত্ত্ব

রবার্ট ভ্যান রাসেলের মতে, হিন্দু ধর্মের অনেক গোত্রের উৎপত্তি টোটেমিক অর্থাৎ উদ্ভিদ, প্রাণী এবং প্রাকৃতিক বস্তু থেকে নামকরণ করা হয়েছে।

এগুলো উপজাতিদের মধ্যে সর্বজনীন হলেও হিন্দু জাতিগোষ্ঠীর মধ্যেও প্রচলিত।

সাধারণত যেসব প্রাণীর নাম গোত্রের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে রয়েছে—

  • বাঘ (বাঘ বা নহর)
  • বাছুর (বচ্ছাস)
  • ময়ূর (মুরকুরিয়া)
  • কচ্ছপ (কচ্ছুয়া)
  • নাগ সাপ (নাগাস)
  • হাতি (হাতি)
  • মহিষ (ভেঁস)
  • ভালুক (রিচারিয়া)
  • শিয়াল (কুলিহা)
  • কুকুর (কুকুরা)
  • হরিণ (কুরসাল)
  • কালো হরিণ (হিরণ)

প্রাণী ছাড়াও বিভিন্ন গাছপালা, ধান ও অন্যান্য শস্য, লবণ, চন্দনকাঠ, শসা, গোলমরিচ, এমনকি গৃহস্থালির কিছু জিনিস যেমন মুসল, বেলন ইত্যাদি থেকেও গোত্রের নামকরণ করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ:

  • ভরদ্বাজ ঋষির নাম এসেছে "ভরদ্বাজ" (একপ্রকার চড়ুই পাখি) থেকে।
  • কৌশিক নামের গোত্র এসেছে "কুশ ঘাস" থেকে।
  • অগস্ত্য নাম এসেছে "আগসি ফুল" থেকে।
  • কাশ্যপ নাম এসেছে "কচ্ছপ" (কচ্ছুয়া) থেকে।
  • তৈত্তিরী নাম এসেছে "তিতির পাখি" থেকে।

এছাড়াও, অন্যান্য ঋষিদের জন্মকে বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে—

  • ঋশ্যশৃঙ্গ (হরিণ থেকে)
  • মান্দব্য (ব্যাঙ থেকে)
  • কণাদ (পেঁচা থেকে)

টোটেমিক প্রথার সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো— 

একটি গোত্রের সদস্যরা তাদের গোত্রের নামকরণকৃত প্রাণী বা গাছকে নিজেদের আত্মীয় বা পূর্বপুরুষ মনে করে এবং তাদের হত্যা বা ভক্ষণ করা থেকে বিরত থাকে।

গোত্র ও কুল এর মধ্যকার পার্থক্য

গোত্র এবং কুলা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
  • গোত্র বংশধারাকে বোঝায়, যা সাধারণত এক ঋষির নাম অনুসারে নির্ধারিত হয়।
  • কুলা হলো নির্দিষ্ট একটি পরিবার।

  • সগোত্র বিবাহ

    প্রচলিত বিবাহ ব্যবস্থায় বহির্বিবাহের (exogamy) নিয়ম অনুযায়ী, একই গোত্রের মধ্যে বিবাহ (সগোত্র বিবাহ) অনুমোদিত নয়। 'সগোত্র' শব্দটি 'স' এবং 'গোত্র' শব্দের সংযুক্ত রূপ, যেখানে 'স' অর্থ একই বা অনুরূপ। হিন্দু বিবাহের প্রস্তুতির সময় কন্যা ও বর উভয়ের কুল-গোত্র (বংশ পরম্পরা) সম্পর্কে জেনে নিতে হয়।

    একই গোত্রের মানুষদের ভাই-বোন বলে গণ্য করা হয়, এবং এই কারণে সগোত্র বিবাহ করলে সন্তানের মধ্যে জিনগতভাবে সৃষ্ট রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রায় সমস্ত হিন্দু পরিবারেই একই গোত্রের মধ্যে বিবাহ প্রচলিত নয়, কারণ তাদের বিশ্বাস যে, তারা একই বংশধারার (Lineage) অন্তর্ভুক্ত। ভিন্ন গোত্রের মধ্যে বিবাহ উৎসাহিত করা হয়, এবং একই গোত্রের মধ্যে বিবাহের প্রচলন অনেক পরে শুরু হয়।

    উদাহরণস্বরূপ, জাট, গুজর, এবং রাজপুতদের মধ্যে ১৩,০০০ গোত্র বিদ্যমান। অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মুদিরাজ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২,৬০০ গোত্র রয়েছে। বেশিরভাগ হিন্দু সমাজে, গোত্র পিতার পক্ষ থেকে সন্তানদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। তবে তুলু জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি মায়ের পক্ষ থেকে সন্তানদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।

    তৎসম শব্দ 'সহোদর' (ভাই) এবং 'সহোদরি' (বোন) সংস্কৃত শব্দ 'সহর' (सहर) থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ একই গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করা।

    যেসব সমাজে গোত্র পিতার পক্ষ থেকে সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়, সেসব সমাজে একজন নারী তার মামার (মাতুল) সঙ্গে বিবাহ করতে পারতেন। তবে মাতৃপ্রধান (matrilineal) সমাজের মতো, যেখানে গোত্র মায়ের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়, যেমন তুলুভা সম্প্রদায়, সেখানে এমন বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল।

    দক্ষিণ ভারতের হিন্দু সমাজের আরও একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল ভিন্ন গোত্রের মামাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহের অনুমতি। অর্থাৎ, এক ব্যক্তির জন্য তার মামার মেয়ে (মাতুলকন্যা) বা পিসির মেয়ে (পৈতৃষ্বস্রীকন্যা) সঙ্গে বিবাহ করা বৈধ, কিন্তু কাকার মেয়ের (পিতার বোনের মেয়ে) সঙ্গে বিবাহ করা নিষিদ্ধ। কারণ, তিনি চাচাতো বোন এবং একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে তাকে বোন হিসেবে গণ্য করা হয়।

    উত্তর ভারতের হিন্দু সমাজ শুধু গোত্রের নিয়ম অনুসরণ করেই বিবাহ নির্ধারণ করে না, বরং তারা অতিরিক্ত কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলে।

    উত্তর ভারতের কিছু সম্প্রদায় নির্দিষ্ট কিছু কুল বা গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করে, কারণ তাদের বিশ্বাস যে উভয় গোষ্ঠী একই পিতৃবংশের (patrilineal descent) অন্তর্ভুক্ত। কিছু সম্প্রদায়ে মাতামহের (মায়ের পিতার) গোত্রের মধ্যেও বিবাহ নিষিদ্ধ, এবং অন্যান্য কিছু নির্দিষ্ট সম্পর্কেও বিবাহ নিষিদ্ধ থাকতে পারে।

    সগোত্র বিবাহের একটি সম্ভাব্য বিকল্প হল কনের দত্তক (Data) গ্রহণ (কনেকে ভিন্ন গোত্রের একটি পরিবারে দত্তক দেওয়া)। সাধারণত, কনের মাতুল (মায়ের ভাই) যদি ভিন্ন গোত্রের হয়, তাহলে তাকে দত্তক দেওয়া হয়, এবং তিনি 'কন্যাদান' (কন্যা + দানম, অর্থাৎ কন্যাকে প্রদান করা) সম্পন্ন করেন। তবে এই ধরনের বিকল্প খুবই বিরল এবং এর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

    বৈদিক হিন্দু ধর্ম আট প্রকার বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় এবং মূলত মনুস্মৃতি-তে উল্লিখিত নীতিগুলো অনুসরণ করে। মনুস্মৃতি বিবাহের আটটি ধরন, স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকা ও দায়িত্ব, এবং বিবাহের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে। বিবাহের আটটি প্রকার হলো—

    1. ব্রাহ্ম বিবাহ (Brahma Vivaha)
    2. ঋষি বিবাহ (Arsa Vivaha)
    3. দৈব বিবাহ (Daiva Vivaha)
    4. প্রজাপত্য বিবাহ (Prajapatya Vivaha)
    5. গান্ধর্ব বিবাহ (Gandharva Vivaha)
    6. অসুর বিবাহ (Asura Vivaha)
    7. রাক্ষস বিবাহ (Rakshasa Vivaha)
    8. পৈশাচ বিবাহ (Paishacha Vivaha)

    প্রথম চারটি বিবাহের ধরন পিতৃপরিচালিত বিবাহ (arranged marriage)-এর ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে। শেষ তিনটি বিবাহ মনুস্মৃতি অনুযায়ী নিষিদ্ধ, যার মধ্যে শেষ দুটি ঘৃণ্য বিবেচিত হয়। গান্ধর্ব বিবাহে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারে, অনেকটা আধুনিক প্রেমের বিবাহের (love marriage) অনুরূপ। শাস্ত্রে গান্ধর্ব বিবাহের উল্লেখ থাকলেও, সময়ের সাথে সাথে বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে শাস্ত্রসম্মত হিন্দুধর্ম (classical Hinduism)-এ পরিবর্তিত হওয়ার ফলে পিতৃপরিচালিত বিবাহ (arranged marriage) প্রধান বিবাহপদ্ধতি হিসেবে গৃহীত হয়, যা আজও প্রচলিত।

    উভয় পক্ষের (পিতৃ ও মাতৃ) মধ্যে ছয় প্রজন্মের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকে সগোত্র বিবাহ ক্ষতিকর ন।

    এটি মনুস্মৃতি-এর পঞ্চম অধ্যায়ের ষাটতম মন্ত্রে ব্যাখ্যা করা হয়েছে— "सपिण्डता तु पुरुषे सप्तमे विनिवर्तते । समानोदकभावस्तु जन्मनाम्नोरवेदने ॥" 

    যার অর্থ, সপিণ্ড (Sapinda) সম্পর্ক সাত প্রজন্মের পর শেষ হয়।

    ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act, 1955)-এর ধারা ৫(ভি)-তেও সপিণ্ড বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে সগোত্র বিবাহের উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।

    গোত্রের তালিকা এবং প্রতিটি গোত্রের ঋষিগণ

  • ভরদ্বাজ (Bharadwaja): অঙ্গিরস (Angirasa), ব্রহস্পত্য (Braahaspatya), ভরদ্বাজ (Bharadwaja)
  • শতমর্ষণ (Shatamarshana): অঙ্গিরস (Angirasa), পৌরুকুত্স (Powrukutsa), ত্রাসতস্য (Trasatasya)
  • আত্রেয় (Atreya): আত্রেয় (Atreya), অর্জনাস (Aarchanaasa), শ্যাবাস্ব (Syaavaasva)
  • ভাতুল (Vatula): ভৃগু (Bhargava), বৈতাহব্য (Vaitahavya), সাবেদস (Saavedasa)
  • রেণুকাচার্য (Renukacharya): রেবণারাধ্য (Revaṇārādhya), রেবণসিদ্ধ (Revaṇasiddha), বীর (Veer), বীরভদ্র (Veerabhadra)
  • বত্স (Vatsa): ভৃগু (Bhargava), চ্যবন (Chyaavana), আপনবান (Aapnavaana), ঔর্ব (Owrva), জামদগ্ন্য (Jaamadaghnya)
  • কৌশিক (Kowsika): বৈশ্বামিত্র (Vaiswaamitra), আগমর্ষণ (AAgamarshana), কৌশিক (Kowsika)
  • বিশ্বামিত্র (Viswamitra): বৈশ্বামিত্র (Vaiswaamitra), দেবরথ (Devaraata), ঔতল (Owtala) অথবা বৈশ্বামিত্র (Vaiswaamitra), অষ্টক (Ashtaka)
  • কৌণ্ডিন্য (Kowndinya): বশিষ্ঠ (Vaasishta), মৈত্রাবরুণ (Maitraavaruna), কৌণ্ডিন্য (Kowndinya)
  • হরিত (Harita): অঙ্গিরস (Angirasa), অম্বরীষ (Ambarisha), যুবনাশ্ব (Yuvanasva)
  • মৌদ্গল্য (Mowdkalya) গোত্রের তিনটি ভিন্ন শাখা: 
    • অঙ্গিরস (Ankiras), ভর্ম্যাস্ব (Bharmyasva), মৌদ্গল্য (Mowdgalya)
    • তর্ক্ষ্য (Tarkshya), ভর্ম্যাস্ব (Bharmyasva), মৌদ্গল্য (Mowdgalya)
    • অঙ্গিরস (Ankirsa), ধব্য (Dhavya), মৌদ্গল্য (Mowdgalya)
    শাণ্ডিল্য 
  • (Sandilya) গোত্রের দুটি শাখা:
    • কাশ্যপ (Kasyapa), আওয়ৎসার (Aavatsaara), দৈবল (Daivala)
    • কাশ্যপ (Kasyapa), আওয়ৎসার (Aavatsaara), শাণ্ডিল্য (Sandilya)
  • নৈত্রুভকাশ্যপ (Naitruvakaasyapa): কাশ্যপ (Kasyapa), আওয়ৎসার (Aavatsara), নৈত্রুভ (Naitruva)
  • কুত্স (Kutsa): অঙ্গিরস (Aankirasa), মান্ধাত্র (Maandhatra), কৌৎস (Kowtsa)
  • কান্ব (Kanva) গোত্রের দুটি শাখা:
    • অঙ্গিরস (Aankirasa), অজামীদ (Ajameeda), কান্ব (Kaanva)
    • অঙ্গিরস (Aankirasa), কৌর (Kowra), কান্ব (Kaanva)
  • পরাশর (Paraasara): বশিষ্ঠ (Vaasishta), শাক্ত্য (Saaktya), পারাশর্য (Paarasarya)
  • অগস্ত্য (Aagastya): অগস্ত্য (Aagastya), তরধাচ্যুত (Tardhachyuta), সৌমবাহ (Sowmavaha)
  • গার্গী (Gargi) গোত্রের দুটি শাখা:
    • অঙ্গিরস (Aankirasa), ব্রহস্পত্য (Bharhaspatya), ভরদ্বাজ (Bharadwaja), সৈন্য (Sainya), গার্গ্য (Gargya)
    • অঙ্গিরস (Aangirasa), সৈন্য (Sainya), গার্গ্য (Gaargya)
  • ভদরায়ণ (Bhadarayana): অঙ্গিরস (Aankirasa), পার্শদাশ্ব (Paarshadaswa), রাতীতর (Raatitara)
  • কাশ্যপ (Kasyapa): কাশ্যপ (Kasyapa), আওয়ৎসার (Aavatsaara), দৈবল (Daivala)
  • সুঙ্কৃতি (Sunkriti) গোত্রের দুটি শাখা:
    • অঙ্গিরস (Aankirasa), কৌরবিদ (Kowravidha), সাংকৃত্য (Saankritya)
    • সাধ্য (Sadhya), কৌরবিদ (Kowravidha), সাংকৃত্য (Saankritya)
  • বশিষ্ঠ (Vasistha): আলিহ্মান (Alihman)
  • থামস্ফল (Thamasphala)
  • মন্তব্যসমূহ