আত্মষট্কম্

মনোবুদ্ধ্যহঙ্কারচিত্তানি নাহং ন চ শ্রোত্রজিহ্বে ন চ ঘ্রাণনেত্রে ।

ন চ ব্যোম ভূমির্ন তেজো ন বায়ুশ্চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥১॥

ন চ প্রাণসঞ্জ্ঞো ন বৈ পঞ্চবায়ুর্ন বা সপ্তধাতুর্ন বা পঞ্চকোশাঃ ।

ন বাক্পাণিপাদং ন চোপস্থপায়ুশ্চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥২॥

ন মে দ্বেষরাগৌ ন মে লোভমোহৌ মদো নৈব মে নৈব মাৎসর্যভাবঃ ।

ন ধর্মো ন চার্থো ন কামো ন মোক্ষশ্চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥৩॥

ন পুণ্যং ন পাপং ন সৌখ্যং ন দুঃখং ন মন্ত্রো ন তীর্থং ন বেদা ন যজ্ঞাঃ ।

অহং ভোজনং নৈব ভোজ্যং ন ভোক্তা চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥৪॥

 ন মৃত্যুর্ন শঙ্কা ন মে জাতিভেদঃ পিতা নৈব মে নৈব মাতা ন জন্ম ।

ন বন্ধুর্ন মিত্রং গুরুর্নৈব শিষ্যশ্চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥৫॥

অহং নির্বিকল্পো নিরাকাররূপো বিভুত্বাঞ্চ সর্বত্র সর্বেন্দ্রিয়াণাম্ ।

ন চাসঙ্গতং নৈব মুক্তির্ন মেয়শ্চিদানন্দরূপঃ শিবোঽহং শিবোঽহম্ ॥৬॥

ইতি শ্রীমচ্ছঙ্করাচার্যবিরচিতং নির্বাণষট্কং সম্পূর্ণম্ ॥

আত্মষট্কম্/নির্বাণষট্কম্ হলো ৬টি শ্লোক বা স্তবক নিয়ে গঠিত একটি অদ্বৈতবাদী) রচনা। এটি হিন্দু পণ্ডিত আদি শংকরাচার্য রচনা করেছেন এবং এতে অদ্বৈত বেদান্তের মূল শিক্ষা বা হিন্দু অদ্বৈতবাদের মূল উপদেশগুলোর সারসংক্ষেপ রয়েছে।

ব্যুৎপত্তি

“আত্মা” হলো প্রকৃত আত্মস্বরূপ। “নির্বাণ” হলো পরিপূর্ণ সমতা, শান্তি, প্রশান্তি, মুক্তি ও আনন্দ। “ষট্কম্” অর্থ “ছয়” বা “ছয়টি নিয়ে গঠিত”।

উৎপত্তি

কথিত আছে, যখন আদি শংকর মাত্র আট বছর বয়সে নর্মদা নদীর তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং তাঁর গুরু খুঁজছিলেন, তখন তিনি মহর্ষি গোবিন্দ ভগবতপাদকে দেখেন। গোবিন্দ ভগবতপাদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কে?” এই প্রশ্নের উত্তরে আদি শংকর এই শ্লোকগুলো পাঠ করেন। এরপর স্বামী গোবিন্দপাদ আদি শংকরকে তাঁর শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। এই শ্লোকগুলোকে আত্মসাধনার পথে অগ্রগতির জন্য অর্থাৎ আত্মপলব্ধিতে পৌঁছাতে সহায়ক ও অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করা হয়।

মন্তব্যসমূহ